রাম | একটি মুদ্রার নাম
টাইটেল দেখেই অবাক লাগছে না ? অবাক তো হওয়ারই কথা সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্বোচ্চ শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্ব শ্রীরামের নামে টাকা আছে যা অনেকে জানে না। এই টাকার মূল্য ১ রাম = ১০ ইউরো। মানে বাংলাদেশ টাকায় ১ রাম = ১০১১ টাকা। চলুন এই টাকার ইতিহাস জেনে আসি।
২০০২ সালের ২৪ই ফেব্রুয়ারী গ্লোবাল কান্ট্রি অফ ওয়ার্ল্ড পিস (জিসিওপি) ( The Global Country of World Peace ) এর প্রতিষ্টাতা মহর্ষি মাহেশ যোগী ( Maharishi Mahesh Yogi ) নামের এক সন্ন্যাসী এই " রাম " ( RAAM ) মুদ্রার প্রচলন করেন। ইউরোপের ৩০টি গ্রামে এ টাকার প্রচলন রয়েছে। এটি প্রচলনের মূল উদ্দেশ্য হল কৃষি প্রকল্পের উন্নয়ন এবং তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলিতে দারিদ্র্য বিমোচনের কাজে সাহায্য করা। মহর্ষি বৈদিক নগরীর মেয়র বব ওয়াইন অনুমান করেন যে প্রচলিত রামের পরিমাণ হচ্ছে ৪০ হাজার ইউরো।
আরো পড়ুন- যোগ কি | মানব জীবনে যোগের গুরুত্ব
মহর্ষি মাহেশ যোগী |
নেদারল্যান্ডসের ১০০ টিরও বেশি দোকানে ডাচ আইন মেনেই ইউরোর পাশাপাশি ২০০৩ সাল পর্যন্ত রাম ব্যবহার করা হয়। ২০০৩ সাল পর্যন্ত ডাচ সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক অনুমান করেন যে সেখানে প্রায় ১০০,০০০ রাম নোট প্রচলিত ছিল। মহর্ষি বৈদিক শহর এবং ফেয়ারফিল্ড নামে লাওয়ের শহরগুলিতেও এর স্বীকৃতি ছিল। মহর্ষি গ্লোবাল ফিনান্সিং অনুসারে, ২০০৪ সালে দক্ষিণ আমেরিকার কৃষক সমিতি এবং আফ্রিকার নেতাদের সাথে কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য রাম ব্যবহার শুরু করার জন্য চুক্তি হয়।
আরো পড়ুন- ধর্মপ্রচার - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
গ্লোবাল কান্ট্রি অফ ওয়ার্ল্ড পিস (জিসিওপি) এর পতাকা |
আরো পড়ুন- বৃক্ষ জননী থিম্মাক্কার গল্প
এই রাম মুদ্রা এক, পাঁচ এবং দশ টাকার কাগজের নোট হিসাবে পাওয়া যায়। এই গ্লোবাল কান্ট্রি অফ ওয়ার্ল্ড পিস ভারতের ৪০,০০০ বৈদিক পণ্ডিতদের একটি গ্রুপ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এবং বিশ্বজুড়ে দারিদ্র্য বিমোচনের মাধ্যমে উন্নয়নশীল দেশগুলিতে বিশাল বৈদিক জৈব কৃষি প্রকল্পের মাধ্যমে বিশ্বমানের শান্তি প্রতিষ্ঠায় আত্ম নিবেদন করে যাচ্ছে যা জীবনযাত্রার মান উন্নীত করবে এবং এই দেশগুলির জীবনমান এবং সেই দেশগুলিকে স্বাবলম্বী করতে সহায়তা করবে।